গতকালের আইপিএল ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পূর্বে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৫৯ রান। পরবর্তীতে ১৫৯ রানের তাড়া করলে গিয়ে সানরাইজার্স মাত্র এক উইকেট হারিয়ে তাদের লক্ষে পৌঁছে যায়।
ওয়ার্নার ১৩তম ওভার পর্যন্ত মাঠে ছিলেন, তিনি ৫টি ছক্কা ৩ ৩টি চারে ৩৮ বলে করেন ৬৭ রান। কলকাতার পেসার পৃথবী রাজ, ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নিলেও জয় পাওয়াটা তখন সানরাইজার্সের নিশ্চিত হয়ে যায়। কেননা ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ৪৬ বলে মাত্র ২৮ রান দরকার ছিল সানরাইজার্সের। বেয়ারস্টো তখন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন।
৪টি ছক্কা ও ৭টি চারে ৪৩ বলে ৮০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বেয়ারস্টো। উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩১ রান যোগ করেছেন এই দুই ওপেনার ওয়ার্নার- বেয়ারস্টো। আইপিএলের এবারের মৌসুমে ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড এখন তাঁদের হাতে। আগের রেকর্ডটি ছিল ওয়ার্নার আর ধাওয়ানের জুটিতে, সময়ের সাথে এবার তা পরিবর্তন ঘটে। ২০১৯ আইপিএলে এ পর্যন্ত ওয়ার্নার আর বেয়ারস্টো দুই জনই নাম যোগ করেছেন সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে।
ওয়ার্নার আবার আজ বিরাট কোহলির গড়া একটি মাইলফলকও ছোয়েছেন। আইপিএলে এ পর্যন্ত পাঁচটি মৌসুমে ৫০০ কিংবা এর থেকে বেশি রান করার রেকর্ড এত দিন বিরাট কোহলির দখলে ছিল। আজ ওয়ার্নার ৬৭ রানের ইনিংস দিয়ে কোহলির রেকর্ডের সাথে ভাগ বসালেন। বিগত পাঁচ মৌসুমে ৫০০ কিংবা এর থেকে বেশি রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার। ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন আগের তিন ম্যাচেও। তাই তিনি এবারের বিশ্বকাপের পূর্বে রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষেও খেললেন ম্যাচ জেতানো এক দুর্দান্ত ইনিংস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ওপেনারকে নিয়ে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া কিন্তু স্বপ্ন দেখতেই পারে , আশা করতে পারে ভালো কিছু আসার তার মাধ্যমে।
অপর দিকে কলকাতা হয়ে ৪৭ বলে ৫১ রান করেন ক্রিস লিন। আন্দ্রে রাসেল আজ আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আউট হয়েছেন মাত্র ৯ বলে ১৫ রান করে। সানরাইজার্সের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার খলিল আহমেদ। পয়েন্ট টেবিলে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নাম্বার স্থানে অবস্থান করছে সানরাইজার্স। তাদের সমান পয়েন্ট থাকলেও এক ম্যাচ বেশি খেলা কলকাতা পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে অবস্থান করছে।