Connect with us

ক্রিকেট

ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে বাংলাদেশ

গত ম্যাচে মুশফিক খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে জয়ি হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনাল নিশ্চিত করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই ধারাবাহিকতায় গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করে।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথমেই বাংলাদেশ বোলারদের চাপের মুখে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাট সম্মানরা। ব্যাটিং করতে নেমেই প্রথমেই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা ওপেনার সুনিল আম্ব্রিসের। তিনি দলিয় রান যখন ৩৭, তখন বাংলাদেশ এর ক্যাপ্টেন মাশরাফির বলে আউট হয়ে যান। কিন্তু আরেক ওপেনার সাই হোপ তখন দল কে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করেন। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটম্যানরা চাপে পড়ে বেশিক্ষন দাড়াতে পা্রে নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাট সম্মানদের বেশির ভাগ সময়ি কাটে আশা যাওয়ার মধ্য দিয়ে।

তবে ম্যাচের একাংশে সাই হোপের সঙ্গ দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ক্যাপ্টেন জেসন হোল্ডার। তারা দুইজন গড়েন ১০০ রানের জুটি। মুলত এই জুটিই ভালো সংগ্রহ এনেদে দলের জন্য। কিন্তু দলিয় রান যখন ১৯৯, তখন সাই হোপ ১০৮ বলে ৮৭ রান করে আউট হয়ে যান বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন মাশরাফির বলে। তার কিছুক্ষন পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ক্যাপ্টেন জেসন হোল্ডার আউট হয়ে যান ৭৬ বলে ৬২ রান করে। তার পর আর কোন খেলোয়াড় তেমন রান করতে পারেন নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল দিন শেষে সংগ্রহ করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪৭ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের প্রথম থেকেই চাপের মধ্যে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। তাই গতকালের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোন ব্যাট সম্মানকেই হাত খুলে খেলতে দেখা যায় নি। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। ৩টি উইকেট নেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি। আর ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান আর মেহদি হাসান মিরাজ।

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে রানের তাড়া করেছিল। সে রানের তুলনায় গতকালের ম্যাচের রান সংখ্যা অনেকটাই সহজ ছিল বাংলাদেশের জন্য।

২৪৮ রানের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের ব্যাট সম্মানদের দেখা যায় ঠান্ডা মাথায় খেলতে। ওপেনিং ব্যাটসম্মান তামিম ইকবাল ২১ রানে আউট হয়ে গেলেও সৌম্য সরকার তুলেনেন তার ক্যারিয়ারের আরেকটি ফিফটি। কিন্তু বাংলাদেশ দল সৌম্য সরকারের ফিফটি পাওয়ার পর একটু ধাক্কা খায়। দলিয় রান যখন ১০৬, তখন সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যান ২৯ রান করে। তারপর দলিয় ১ রান যোগ হওয়ার পরপরই (১০৭রান) সৌম্য সরকারও আউট হয়ে যান ৫৪ রান করে। ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম আর মুহাম্মাদ মিটুন। তাড়াতাড়ি দুটি উইকেট পরে যাওয়া দলকে অভাব বুঝতে দেননি এই দুই ব্যাট সম্মান। ঠিক পথেই দুজন টেনে নিয়ে যান দলকে। দলিয় রান ১৯০ এর সময় মুহাম্মদ মিটুন আউট হয়ে যান ৪৩ রান করে। সেই সময় বাংলাদেশ দল জয়ের প্রায় কাছাকাছি যায়গায় চলে আসে। শেষ দিকে এসে মুশফিক ৬৩ রান করে আউট হয়ে যান। দিন শেষে বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এর বিপক্ষে।

আর এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ দল ফাইনালে চলে যায়, তাদের ফাইনালে প্রতিপক্ষ দল আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ফাইনালের পূর্বে বাংলাদেশ দলের আরেকটি ম্যাচ রয়েছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ১৫ই মে। যদিও আয়ারল্যান্ডের সাথে প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়। তাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দল প্রস্তুত হচ্ছে।

আরও সংবাদ: খেলার পাতা
বিষয়: ক্রিকেট, ত্রিদেশীয় সিরিজ, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মন্তব্য করুন

মন্তব্য

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ক্রিকেট - এর আরও খবর