এবারের বিশ্বকাপের নবম ম্যাচে আজ বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক।
ধীরে সুস্থে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংস শুরু করে। আজকেও তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার। গতকিছুদিনে সৌম্য বাংলাদেশের ওপেনিংয়ের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। আজও তিনি এর ব্যাতিক্রম হতে দেননি। যেখানে তামিম ইকবাল ধীরে ধীরে এগুচ্ছিলেন সেখানে সৌম্য বলের সমান্তরালে নিজের স্ট্রাইক রেট এগিয়ে নিচ্ছেলেন৷ বাংলাদেশও আরোও একটি অসাধারণ শুরুর স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। দলীয় ৪৫ রানে সৌম্য ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড আউট হন।
সৌম্য আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। গত ম্যাচের রেশ এ ম্যাচেও তিনি ধরে রাখেন। কিন্তু আর মাত্র ১৫ রান দলীয় স্কোরে জমা হওয়ার পর তামিম বিদায় নেন। ১৩ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৬০।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ধীরে সুস্থে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা জুটি মুশফিক-সাকিব। আজকে সাকিব-মুশি পারলেন না আগের মতো স্মরণীয় কোন জুটি গড়তে। তাদের ৫০ রানের জুটির সমাপ্তি হয় মুশফিকের ১৯ (৩৫) আউটের মাধ্যমে।
সাকিব তার মতোই ব্যাটিং করছিলেন। বাংলাদেশও আশা করছিল বড় একটা ইনিংসের। ৩০ ওভারে বাংলাদেশ ১৫০ রান তুলে ফেলে। গ্রান্ডডমির অসাধারণ এক বলে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে ৬৮ বলের ঝকমকে একটি ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান সাকিব৷ ৬৪ রানের সাকিবের বিদায়ের পরও বাংলাদেশ সমর্থক বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেনি। কেনই বা দেখবে না! দলে তখনও বাকি মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক, সাইফুদ্দিন, মিরাজের মতো ব্যাটসম্যান, হাতে আছে প্রায় ২০ ওভার।
কিন্তু আজ যেন বাংলাদেশ দল সাকিবের আউটে দিশেহারা হয়ে যায়। হটাত করে প্রচন্ড চাপে পড়ে যায় দল। ব্যাটিং দেখে তাই মনে হচ্ছিল বারবার।
সাকিবের আউটের পর কেহই আর পারেননি আস্থার মূল্যায়ন করতে। শেষের দিকে একমাত্র সাইফুদ্দিন ছাড়া কারোও স্ট্রাইক রেট ৮০ পেরোয়নি। রানের বিপরীতে অনেকগুলা বল খেলে আস্তে আস্তে হতাশায় ফিরিয়ে সবাই ফিরে যান ড্রেসিংরুমে।
শেষ পর্যন্ত পুরো ইনিংস শেষ খেলতে পারলো না বাংলাদেশ৷ সাকিবের আউটের পর শেষ ৯৪ রান যোগ করেন পরের ৬ ব্যাটসম্যান।
এবার ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে যদি সাকিব নেতৃত্ব দিতে পারেন তবে বাংলাদেশ আরোও একবার ভাসবে আনন্দে।
