৪১ বলে অপরাজিত ৭০ রান। বলতে গেলে বোলারদের উপর একপ্রকার তান্ডবই চালালেন এবিভি ভিলিয়ার্স। কিন্তু ম্যাচ শেষে হাসি নেই তার মুখে। এই ধরণের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরেও পরাজিত দলে রয়েছেন তিনি।
ম্যাচটা জিতে অবশ্য প্রশস্ত হাসিটা হেসেছেন যুবরাজ সিং। ষষ্ঠ ওভারে যখন তিনি স্লিপে ক্যাচ ছেড়েছেন তখনো ভিলিয়ার্স তার ঝড় শুরু করেননি। ম্যাচ জয়ের পর তাই স্বস্তির হাসি তার মুখেই মানায়।
বলতে গেলে শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে ঝড়ো ইনিংসটাই বৃথা গেল ভিলিয়ার্সের।বেঙ্গালুরু মাত্র ৬ রানে হেরেছে মুম্বাইয়ের কাছে। বেঙ্গালুরুর শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। শেষ বলে ৬। মালিঙ্গার সেই বলে রান নিতে ব্যার্থ শিবাম। কিন্তু পরে দেখা গেল শেষ বলটি ছিল পরিষ্কারভাবেই নো-বল। পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এই নিয়ে নিজের ঝাল মিটিয়েছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহিলি।
এইবারের আইপিএল জমে উঠেছে নানা ঘটনায়। প্রথমেই ছিল অশ্বিনের মানকাড আউট। এই নিয়ে এখনো তর্ক-বিতর্ক চলছে ক্রিকেটারদের মাঝে। কেউ কেউ এটাকে ক্রিকেটীয় নীতির বিরুদ্ধেও বলছেন। এর পর আজকে এই বাজে আম্পায়ারিং। কোহলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা আইপিএল খেলছে, ক্লাব ক্রিকেট নয়। হয়ত আম্পায়ার নো-বল ডাকলে ফলাফল অন্যরকম হত।
এতসব হতাশার মাঝেও এবি ডি ভিলিয়ার্স তার নামের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। কেন তিনি ৩৬০ ডিগ্রি নামে পরিচিত আবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তার মারা শট গুলোতে। তার প্রতিটি শট ছিল মনোমুগ্ধকর।
কোহলির আউটের পরও বেঙ্গালুরু জয়ের স্বপ্ন দেখছিল শুধুমাত্র ভিলিয়ার্সের জন্য। কিন্তু বাজে আম্পায়ারিং-এ ভক্তদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়। অসাধারণ ব্যাট করেও ভিলিয়ার্স দেখলেন হারের মুখ।
এত কিছুর মাঝেও জাদু দেখিয়েছিলেন বুমরা। ১৯ তম ওভারে ৫ রান দিয়েছিলেন এই পেসার, যার কারণে ম্যাচটি শেষ হয় এত নাটকীয়তায়। তার এই অসাধারণ স্পেলে ২০ তম ওভারে দরকার পরে ১৭ রানের। ম্যাচটি শেষ হয় মুম্বাইয়ের ৬ রানের জয়ে। বুমরার ২০ রানে ৩ উইকেট লাভের জন্য ম্যাচদেরা হবার মুকুট পেলেন।
