আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগের ম্যাচটিতে বার্সেলোনার হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি আর অন্যটি এসেছে লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে।
আজকের ম্যাচে বার্সেলোনা ও লিভারপুল বল দখলে ছিল সমানে সমান। ইংলিশ দল কোনোদিক দিয়ে ছাড় দেয়নি স্প্যানিশ দল বার্সেলোনাকে। তবে আক্রমণে লিভারপুল থেকে বেশি ধারালো ছিল বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের শুরুতেই লিভারপুলকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। তাই প্রথমার্ধে গোলের সুযোগও বেশি তৈরি করেছিল বার্সেলোনা।
মেসি আজকের ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত। খেলেছেন সম্পূর্ণ মাঠ জুড়ে, বলের জোগান দিয়েছেন। আবার ১৪ মিনিটে নিজেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন বসেন। পরের মিনিটেই কুতিনহোকে বল বাড়িয়ে দেন। ব্রাজিলিয়ান এই তারকাও গোলের মুখ দেখেননি আজকের ম্যাচে। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন সুয়ারেজ। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোলটি কখন পাবেন তিনি এই আশায়। সুয়ারেজের তার অপেক্ষার অবসান ঘটান ২৬ মিনিটের দিকে। জর্ডি আলবার নিচু করে বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান বার্সেলোনার উরুগুইয়ান তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় লিভারপুল। প্রথম ১৫ মিনিটেই সালাহদের তিনটি শট আটকে দেন বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে স্টেগেন। লিভারপুলের একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত বার্সেলোনা তখন পরিকল্পনা পাল্টে দেয়। দ্রুত পাল্টা আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে বার্সেলোনা। নিজেদের সীমানা থেকে মেসি একাই বল টেনে আনেন প্রতিপক্ষের দিকে। সার্জি রবার্তোর কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন সুয়ারেজ। কিন্তু গোলবারে লেগে বল ফিরে এলে অরক্ষিত মেসি সেটা সহজেই লিভারপুলের জালে জড়ান। মিনিট সাতেক পর ডি বক্সের বাইর ফাবিনহোর ফাউলের শিকার হন মেসি। ফ্রি কিক নেন মেসি নিজেই। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন এই গোলমেশিনের গোলেই ব্যবধান বাড়ায় লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে এটি ছিল মেসির দ্বিতীয় গোল। আর এই গোলের মধ্য দিয়ে মেসি ছুঁয়েছেন বার্সেলোনার হয়ে ৬০০ গোলের মাইলফলক। মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি স্বাগতিকেরা জিতেছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে।
মেসির দ্বিতীয় গোলের পর রবার্তো ফিরমিনোর শট গোললাইন থেকে আটকে দেন রাকিটিচ, ফিরতি বলে শট নেন সালাহ। সেটাও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। পাল্টা আক্রমণে গোলের সহজ সুযোগ পায় বার্সেলোনাও। কিন্তু ডেম্বেলের শিশুসুলভ ভুলে ব্যবধান আর বাড়ানো হয়ে ওঠেনি বার্সেলোনার। দিন শেষে বার্সেলোনা ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
