সেমি-ফাইনালে বার্সার সঙ্গে লিভারপুলের লড়াই হয়েছিল ২০০৬-০৭ সালে। প্রায় এক যুগ আগের সেই ম্যাচ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচ। সেই ম্যাচে অ্যাওয়ে গোলে বার্সাকে হারায় লিভারপুল। এরপর এই প্রথম বার্সার বিপক্ষ দল হিসেবে লিভারপুল খেলবে এইবারের চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমি-ফাইনালে।
লিভারপুল পোর্তোকে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ লেগে ৪-১ গোল হারায়। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে তারা ২-০ গোলে জিতেছিল । দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৬-১ গোল ব্যবধানে জিতে লিভারপুল টানা ২য় বারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো।
পোর্তোর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রথম লেগ শেষেই একধাপ এগিয়ে ছিল লিভারপুল। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জেতার পর গত ম্যাচে তাদের লক্ষ্য দারুণভাবে পূরণ করেই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল তারা। দুই লেগ মিলিয়ে লিভারপুলের গোল ছিল ৬টি আর মাত্র ১টি গোল ছিল পোর্তোকদের। এই বিরাট ব্যবধান নিশ্চিত করেছে শেষ চারে খেলতে লিভারপুল কে।
লিভারপুল কোচ অনেক খুশি টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করলো তার দল। গত মৌসুমে ফাইনালে উঠেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি তারা। এবার সেই দুঃখ মুছে লিভারপুলের সামনে বাধা রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা যেখানে রয়েছে মেসির মত খেলোয়াড়।
সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর লিভারপুলের কোচ এক সাক্ষাতকারে বলেন “বার্সেলোনা আর লিভারপুলের মধ্যে সুন্দর একটা ম্যাচ সব সময়ই ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুখবর। টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করাটা দারুণ এক সাফল্য। আমি লিভারপুলের খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ গর্বিত।”
অপরদিকে মেসির জোড়া গোলে ভালো জয় পেয়ে সেমি ফাইনালে ওটে বার্সা। কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র হওয়ার পর সবাই আশা করেছিলেন দুর্দান্ত এক ম্যাচ হবে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। কিন্তু বার্সার সামনে ম্যানইউ পাত্তাই পেলো না। প্রথম লেগে ১-০ হারের পর শেষ লেগে ৪-১ এ হারে তারা।
এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে পরস্পর মুখামুখি হবে বার্সেলোনা ও লিভারপুল। ০৬-০৭ সালের চেয়েও মন-মুগ্ধকর খেলা হয়তো উপহার দিবে এই দুই দল। তাই দুটি দল প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামি দিনের জন্য। কে যাবে ফাইনালে তা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছে সবার মাঝে? আগামি ৩০ই এপ্রিল ও ৭ই মে দুই লেগ মিলে যে দল জিতবে সেই দল চলে যাবে ফাইনালে।