আজ লা লিগায় বার্সেলোনা ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে লেভেন্তে কে। এ জয়ে ২০১৮-২০১৯ মৌসুমের স্প্যানিশ লিগের শিরোপা উঠলো বার্সেলোনার ঘরে। এ ম্যাচে বার্সেলোনা হয়ে এক মাত্র গোল করেন লিওনেল মেসি। আজকে বদলি হিসেবে নামা লিওনেল মেসির ৬২ মিনিটের একমাত্র গোলেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে স্প্যানিশ তারকাদের। এ নিয়ে বার্সেলোনা শেষ এগার মৌসুমে আট বার শিরোপাটি তাদের ঘরে তোলে।
বার্সেলোনার দর্শকরা আজকের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়েই এসেছেন। যেন আজকে্র দিনটি তাদের। এসেছেন তাদের প্রিয় দলের শিরোপা উঁচু করে ধরার মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য। অনেকে আবার দলের বিজয় উদযাপন করবেন বলে মাঠে কেকও নিয়ে এসেছেন। দর্শকদের এই আনন্দ বার্সেলোনা ধরে রেখেছে শেষ পর্যন্ত, কাউকে হতাশ করে নি তারা।
বিগত কয়েক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতা হচ্ছে না বার্সেলোনার। তবে এবারের মৌসুমে হয়ত শিরপাটি উঠবে তাদের ঘরে। সামনে চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে বার্সেলোনার। তাই ভালভার্দে প্রস্তুত করছেন তার দল কে। যাতে করে এবারে আর তার দলের চ্যাম্পিয়নস শিরোপা হাত ছাড়া যেন না হয়। তাইত দেখা গেছে লা লিগায় তাদের শিরোপা পাওয়া যখন নিশ্চিত হয়ে যায়, তখন তিনি মেসির মত ভালো খেলয়াড়দের একাদশে রাখছেন না। তাদের বিশ্রামের জন্য সুযোগ করে দিচ্ছেন তিনি। গত ম্যাচে এবং আজকের ম্যাচে একই ঘটনা ঘটে মেসি প্রথম একাদশে ছিলেন না। যখন বার্সেলোনার কোচ দেখলেন আজ আর মেসি ছাড়া তার দল সামনের দিকে বাড়তে পারছে না, টিক তখনি তিনি আস্থা রাখলেন লিওনেল মেসির ওপর। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কুতিনহোর বদলি তাকে মাঠে তোলেন ভালভার্দে। কোচের বিশ্বাস ভাঙ্গেন নি এই আর্জেন্টাইন তারকা। যদিও তার এটি করতে সামান্য সময় লেগেছিল। কারন বিপক্ষের রক্ষন ভাগের খেলোয়াড়দের প্রতিহত করতে অনেক সময় লেগেছে তাদের। শেষে ভিদালের ছোট্ করে বাড়ানো পাসে লেভান্তের ডিফেন্ডারদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন এই তারকা ফুটবলার। তিনি বার্সা হয়ে গোল করেন দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে। এই গোলে ১-০ গোলের ব্যবধান চলে আসে। এই গোলের পর আর কোন দল গোল করতে পারেনি। যদিও প্রথম গোলের পর বার্সার আরেক উরুগুইয়ান তারকা সুযোগ পেয়েছিলেন গোলের জন্য, কিন্তু শেষে তা আর কাজে লাগাতে পারেননি উরুগুইয়ানের তারকা সুয়ারেজ। এ দিকে গোল হজমের পর সমতায় ফেরার জন্য বার্সা কে খানিকটা ভয় দেখিয়ে ফেলে লেভান্তে। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তা আর কাজে লাগাতে পারেনি লেভান্তেরা। তারা যদি সুযোগ কাজে লাগাতে পারতো তাহলে হয়তো বার্সার শিরোপা জেতার জন্য আরও কিছু সময় লাগতো।