এবারে ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলের নির্বাচকের বাচাই করেছেন সবচাইতে অভিজ্ঞ খেলয়াড়দের। ১৫ সদস্যের মধ্যে এর পূর্বে বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র আট জন। আর প্রথম বারের মত বিশ্বকাপ খেলবেন সাত জন খেলোয়াড়।
মাশরাফি প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছেন ২০০৩ সালে। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ২০০৭ সাল থেকেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে আছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেনের এটি হবে তৃতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৫ বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন সাব্বির রহমান এবং সৌম্য সরকার। এবারেরটি সহ বিশ্বকাপ খেলা তাদের দুটি। দলের সাত ক্রিকেটার লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু জায়েদ বিশ্বকাপ খেলবেন এই প্রথম বার।
বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা অন্যদের চেয়ে খুব একটা কমছে না বাংলাদেশ দলের। কারণ সবচেয়ে বেশি তিন বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার যেমন বাংলাদেশ দলেই আছে, তেমনি আগে কখনো বিশ্বকাপ খেলেনি সাত জন ক্রিকেটার এমন অন্য কোন দলে নেই।
বাংলাদেশ দল ছাড়াও ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, নিউজিল্যান্ডের রস টেলর ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়দের এর আগে সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে স্টিভেন স্মিথের। তাঁদের ১৫ জনের দলের ৯ জনেরই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা হবে প্রথম বার। একটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে পাঁচ জনের।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের হয়েও এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র একজন, অধিনায়ক এউইন মরগান। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ অভিষেক হবে আটজনের। বাকি ছয় জনের জন্য এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। লিয়াম প্লাঙ্কেট আবার বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন ২০০৭-এর পর।
ভারতীয় দলে ধোনির পর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়আছেন বিরাট কোহলি। এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলবেন ভারতের অধিনায়ক। বাকিদের মধ্যে সাতজন এই প্রথম বিশ্বকাপ খেলবেন। ছয়জনের জন্য এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
অভিজ্ঞতা দিকে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশের কাছাকাছি ধরা যায়। তাঁদের ৯ জনের জন্য এটি প্রথম বিশ্বকাপ, আবার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও আছে ছয়জনের। তিন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টেলরের সঙ্গে আছেন দুটি বিশ্বকাপ খেলা কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি ও মার্টিন গাপটিল। ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্ট খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপ দলে।
পাকিস্তানের অভিষেক হয় বিশ্বকাপে ১৯৭৫ সালে। এরপর এবারই সম্ভবত সবচেয়ে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে খেলবে তাদের দলে। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ দলের সবার জন্যই ছিল এটি প্রথম বিশ্বকাপ।এরপর এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথম খেলবেন ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। অবশ্য দলে থাকলেও হাফিজের বিশ্বকাপ খেলা নির্ভর করছে তাঁর হাতের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠার ওপর। দলে থাকা শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ ও হারিস সোহেলের এটি হবে তাদের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন দল ঘোষণার দিন বলেছেন অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবার। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদও কাল বলেছেন তার আস্থা আছে অভিজ্ঞদের ওপর। তিনি বলেন- আমরা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছি। এবারও একই কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে। সেটা যদি খেলোয়াড়েরা মনে রাখে তাহলে এবার আমাদের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।