৭ই মে বাংলাদেশ দলের ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ রয়েছে। তাদের বিপক্ষ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই ত্রিদেশীয় সিরিজের পূর্বে প্রস্তুতির জন্য গতকাল আয়ারল্যান্ড এ দলের সাথে খেলতে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল।
প্রথমে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড এ দল, দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান। যেখানে তাসকিন আহমেদ ১০ ওভার বল করে নেন ৩ উইকেট। ফরহাদ রেজাও ১০ ওভার শেষে নেন ২ উইকেট। বাকিরা নেন ১টি করে উইকেট।
৩০৭ রান, কঠিন লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশ দলের শেষের দিকে কঠিনই রইল তাদের জন্য এ রানটি। ৩০৭ রানের তারা করতে নামে বাংলাদেশ দল ওপেনিং এ ছিলেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। প্রথমে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। তাদের জুটি দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ দল ৩০৭ রানের জন্য সঠিক পথে এগুচ্ছে। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশ দলের দলিয় রান যখন ৫৬ তখনি দুই ওপেনার তাদের উইকেট দিয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান। তারপর আবার ২৬ রান আসে সাকিব আর মুশফিক এর কাছ থেকে। মুশফিকও ১১ রান করে সাজ ঘরে ফিরে যান। তার পর সাকিব আর মিটুন এর ব্যাট থেকে আসে ১৫ রানের জুটি। সেখানে মিটুনের ছিল ১৩ রান, তিনিও সে সময় উইকেট দিয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান। সে সময় সাব্বির রহমান এসে দুই বল খেলে শুন্য রানে উইকেট হারিয়ে বসেন। অধিনায়ক তখন সাকিব হাল ধরেন বাংলাদেশ দলের। ৩০ ওভারের সময় বাংলাদেশ দল ১৫০ রান ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু সে সময় অধিনায়ক সাকিব ও বাংলাদেশ দলের হাল বেশি সময় ধরে রাখতে পারেননি, ৪৩ বলে ৫৪ রান করে উইকেট হারিয়ে ফেলেন। তারপর একে একে মাহমুদউল্লাহ, মিরাজের মতো অলরাউন্ডারা আর বাংলাদেশ দলের হাল ধরতে পারেন নি। দিন শেষে বাংলাদেশ দল সব উইকেট হারিয়ে ২১৯ রানেই গড়িয়ে যায় ৭ ওভার হাতে রেখেই। আয়ারল্যান্ড এ দল শেষে বাংলাদেশের সাথে জয় পায় ৮৮ রানে।
মুশফিক আয়ারল্যান্ড যাবার পূর্বে সংবাদ মাধ্যম কে যানান যে, বাংলাদেশ দল তিনশত রানের তাড়া করা শিখছে। যেখানে প্রস্তুতি ম্যাচ তেমন গুরুত্বপূর্ণ না, তারপর ৩০৮ রানের তাড়া করতে গিয়ে ২১৯ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। আগামিকাল বাংলাদেশ দলের ম্যাচ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। গেল ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর ওপেনিং ব্যাট থেকে আসে ৩৬৫ রান। সে স্থানে আগামী কাল বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটি কতটুকু ভুমিকা রাখবে সেটি দেখার বিষয়।