২০১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান রয়েছেন ধারুন ফর্মে। রোববার রূপগঞ্জের বিপক্ষে সৌম্য সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মাত্র ৭১ বলে। সেদিন ১০৬ রানের ইনিংস খেলেও নিজে দুঃখ প্রকাশ করলেন সৌম্য। ম্যাচ শেষে বলেচিলেন- আরেকটু যদি দেখে খেলা যেত তাহলে ইনিংসটা আরও বড় করা যেত। তবে এই দুঃখ মুছতে তার বেশি সময় লাগে নি, ঠিক পরের ম্যাচে নিজের ভোল গুলো গুছিয়ে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি, ছিলেন ২০৮ রানে অপরাজিত।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়ার পর সৌম্য ফর্মে ফিরেছেন, তবে এ সম্পর্কে অনেকে বলেন এক ম্যাচে রান পেলে কি সবগুলোতে রান পাওয়া যায়। তার যথার্থ উত্তর দিয়েছেন তিনি, রোববারের ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি আর আজকের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি। সৌম্য এর মাঝে যে যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে তা কিন্তু বুঝা যায়, আর আজকের ম্যাচ হতে পারে তার প্রমান।
৯ উইকেট হারিয়ে শেখ জামাল করে ৩১৭ রান। ৩১৭ রানের জন্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য ওপেনিং এ ওঠে ম্যাচ জিতিয়েছেন এবং মাঠে ছিলেন ম্যাচের শেষ অবদি পর্যন্ত। এর আগের ম্যাচে সৌম্য ১০৬ রান করে ২৫তম ওভারে উইকেট হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তা আজ হয় নি, ২০৮ রান সগ্রহ করে অপরাজিত ছিলেন দল জিতা পর্যন্ত। গত ম্যাচের দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে জহুরুল ইসলামের সঙ্গে সৌম্য ওপেনিং এ ওঠেন, দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৬৯ রানের জুটি। সেই ম্যাচে জহুরুল ইসলাম ৭ম ওভারেই আউট হয়ে যান। কিন্তু আজকের ম্যাচে জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য জুটি বাদেন ৩১২ রানের। শেষে জহুরুল ইসলাম আউট হন ৪৬তম ওভারে। এদিকে সৌম্য ইতিহাস গড়তে কাজে লাগালেন ম্যাচের সম্পূর্ণ সময়।
এখন পর্যন্ত ঘরোয়া লিগে বা বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড এখন শুধু মাত্র সৌম্যের।
স্বাভাবিক ভাবে ওয়ান্ডে ম্যাচে দেখা যায় ব্যাটসম্যানেরা ইনিংসের শুরুতে বোলারদের উপর চাপ তৈরির জন্য সাধারন খেলার চেষ্টা করেন যাতে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু সে যায়গায় সৌম্য ৫২ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে করেন মাত্র ৫০ রান। এর পরের ৫০ রান তোলতে তিনি ব্যবহার করেন মাত্র ২৬ বল। এ ৫০ রানেও ছিল ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। বাকি ১০০ রান করতে সৌম্য ব্যবহার করেন ৭১ বল। তিনি ১৪৯তম বলে ডাবল সেঞ্চুরি করার খেতাব গ্রহন করেন।