এবারের ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে মেহদি হাসান মিরাজের জন্য প্রথম বিশ্বকাপ। তাই প্রথম বিশ্বকাপকে সরন করে রাখার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ২১ বছর বয়সের এই অলরাউন্ডার। মিরাজের মতো মোস্তাফিজ, লিটন, মোসাদ্দেক, মিঠুন, সাইফউদ্দিন, আবু জায়েদের এটি হবে প্রথম বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা ছিল মিরাজের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ খেলেছে দুবার। তবে আসল বিশ্বকাপ খেলবেন কবে, মিরাজ তা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন অনেক আগে থেকে।
মেহদি হাসান মিরাজ সংবাদ মাধ্যমকে যানান- ২০১৫ বিশ্বকাপ যখন হচ্ছিল, তখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে আমাদের একটা সিরিজ চলতে ছিল। ওই সিরিজ খেলার সময়ই ভাবছিলাম, আহ যদি একদিন আমিও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেতাম। এই স্বপ্ন দেখার ৪ বছরের মধ্যে পূরণ হয়ে গেল স্বপ্নটা। অবশ্যই অন্য রকম ভালো লাগার কাজ করছে আমার মধ্যে।’
শুধু স্বপ্ন পূরণ হলেই তো হবে না, বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও ভালো খেলতে হবে। ইংলিশ কন্ডিশনে অফ স্পিন বোলিং ভালো করতে হবে আবার ব্যাটিংয়েও নিচের দিকে নেমেও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। এ জায়গায় কিন্তু মেহদি হাসান মিরাজের চ্যালেঞ্জ রয়েছে অনেক বড়। সাহসী আর ইতিবাচক মানসিকতায় মিরাজ চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন। তিনি আশা দিচ্ছেন বড় মঞ্চে আলো ছড়াবেন সব সময়ের মত। এ ধরনের টুর্নামেন্টে বোলার, বিশেষ করে স্পিনারদের দাপট দেখানো অনেকটাই কঠিন। ওখানে হাই স্কোরিং উইকেট থাকে সব সময়ই। তবে কাজ যত কঠিন থাকে, সেখানে সফল হলেও তৃপ্তি অনেক বেশি থাকে। আমি সর্বোচ্চই চেষ্টা করব আমার পক্ষ থেকে।’
ব্যাটিং অর্ডারে যেহেতু নিচে নামতে হবে আমার,সেখানে লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ সব সময়ই কম থাকবে। তবে মিরাজ মনে করেন, ব্যাটিংয়েও কিছু করে দেখানোর সুযোগ থাকবে তাঁর জন্যে, ‘দল আমার কাছে শেষ দিকে ২৫-৩০ টি রান প্রত্যাশা করবে। এখানে কিন্তু হিরো হওয়ার সম্ভাবনা টা থাকবে অনেক ক্ষেত্রে। ধরুন ৬ অথবা ৭ উইকেট পড়ে গেছে, দলের দরকার ৬০ বলে ৬০ রান, অথবা ৪০ বলে দরকার ৫০ অথবা ৬০ রান। তখন যদি ভালো কিছু করতে পারি দলের জন্যে। তখন হিরো হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে আমার, চেষ্টা করব সুযোগটি কাজে লাগানোর।