২০১৮ সালটি তেমন ভাল যায়নি অস্ট্রেলিয়ার। ঘরের মাটিতেও সিরিজ হেরেছিল তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের বছরে এসে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। পরপর দুইটি সিরিজে বিদেশের মাটিতে নিয়ে এসেছে দাপুটে জয়।
বিশ্বকাপের আগে দুইটি সিরিজ খেলার সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ভারতের বিপক্ষে ৩-২ এ সিরিজ জেতে তারা। এখন পাকিস্তানের সাথে ৫-০ তে জয়ী। এশিয়ার মাটিতে কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করা বিশ্বকাপের আগে অবশ্যই বাড়তি প্রেরণা তাদের জন্য। অস্ট্রেলিয়া দলের এই ধরণের ফর্মে মুগ্ধ খোদ পাকিস্তানের কোচও।
স্মিথ ও ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞার পর অনেকটা যেন নিজেকে হারিয়েই খুঁজে ফিরে বেড়াচ্ছিল তারা। কিন্তু বিশ্বকাপ আসার আগেই যেন আগুনের মত তাপ ছড়াচ্ছে তারা। তাদের ফর্ম দেখে পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার-ও ভাবছেন এই রকম ফর্ম ধরে রাখলে বিশ্বকাপ পাবার যোগ্য দাবিদার তারাও।
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান এই ধরণের প্রস্তুতি আশা না করলেও ঠিক এমনি প্রস্তুতি চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তারা মনে প্রাণে চাচ্ছিল যেকোন মূল্যে এই সিরিজে ভাল খেলা যাতে তা তাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। এই ধরণের ধারাবাহিক খেলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
২০১৮ সালে খেলা ১৩ টি একদিনের ম্যাচে ১১ টি হারের পর সমালোচনা শুরু হয়েছিল তাদের। কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই তারা বিশ্বকাপের মঞ্চে যেতে প্রস্তুত এখন। সাথে স্মিথ-ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞাও শেষ হয়েছে। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ওয়ার্নার। আইপিএল এ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেনও গত ম্যাচে। সাথে প্রতিটি ম্যাচেই খেলছেন বিধ্বংসী ইনিংস।
এই সিরিজে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিল পিসিবি। যার খেসারত দিতে হয় হাতেনাতেই। এই সিরিজে জয়ের পর দীর্ঘদিন পরে অস্ট্রেলিয়াও ৫ ম্যাচের সিরিজে কোন দলকে হোয়াইটোয়াশ করতে পারে। পিসিবির এই ধরণের সিদ্ধান্তে বিরক্ত পাকিস্তানের তারকা খেলোয়াড়রা। অনেক সমালোচনাও করছেন আফ্রিদি এমনকি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান।