আইপিএলে ৮ নাম্বার ম্যাচে সপ্তম হারের দেখা পেল কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু প্রথমে ব্যট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ১৭১ রান করে।
যেখানে কোহলি ওপেনিং এ উঠে ৯ বলে মাত্র ৮ রান করে সাজ ঘরে ফিরে যান। তার পরে পেটেল আর এ বি ডি ভিলিয়ারস এর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পেটেল করেন ২০ বলে ২৮ রান ও ডিভিলিয়ারস করেন ৫১ বলে ৭৫ রান। মঈন আলির ব্যট থেকে আসে ৩২ বলে ৫০ রান। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান।
১৭১ রানের তাড়া করতে গিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়াসের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৭ ওভারে ৭০ রান। কিন্তু অষ্টম ওভারে মঈন আলীর বোলিং তোপে পড়ে ৭০ থেকে ৭১ করতে মাত্র ২ রানের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার। ১৯ বল খেলে ২৮ রান ছিল রোহিতের ও ডি ককের ৪০ রান এসেছে ২৬ বল থেকে।
তাঁদের পরে মুম্বাই ইন্ডিয়াসের ব্যটিং লাইন সামলেছেন সুরু কুমার যাদব ও ঈশান কৃষাণ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাদের ব্যাট থেকে ১৭ বলে আসে ৩৩ রান। আবার মুম্বাইয়ের দিকে হেলে যায় ম্যাচটি। দলীয় ১০৪ রানে কৃষাণ সাজ ঘরে ফিরে গেলে কুনাল পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন যাদব। যদিও কুনালের ব্যাটিং ব্যর্থতায় রানের গতি কমে আসে অনেকটাই। আউট হওয়ার আগে কুনাল করেন ২১ বলে মাত্র ১১ রান। পরে ক্রিজে এসে বড় ভাইয়ের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিয়েছেন ছোট ভাই হার্দিক পান্ডিয়া। ১৬ বল খেলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২২।কিন্তু পান্ডিয়া ২০ তম ওভারে ম্যাচটা নিতে দিলেন না। পাওয়ান নেগির ১৯ তম ওভারেই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ঝোড়ো ২১ রান। যার ৪ বলে করেন ২০ রান আর ১ রান আসে অতিরিক্ত। আর এই অবিশ্বাস্য ব্যাটিংইয়ের ঝড়েই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
এক ওভার বাকি থাকতেই কঠিন ম্যাচটা হাতের নাগালে চলে আসে মুম্বাইইয়ের। এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রোহিত শর্মার দল। আর ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নিচে আছে কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।